ঈদে বাড়ি ফেরা হলো না,ফিরতে হলো কফিনবন্দি হয়ে।
পার্থ ঝা,মালদা;
বাবা মা অসুস্থ , দীর্ঘদিন যাবত ধরে পরিবার আর্থিক অনটনে ভুগছিল যার ফলে বাড়ির একমাত্র পুত্রকে সংসারের হাল ধরতে টাওয়ারের কাজে যেতে হয়েছিল কর্ণাটক। কিন্তু বাড়ি ফেরা হলো না ঈদে। ফিরতে হলো কফিনবন্দি হয়ে । মাত্র 25 দিন আগে গিয়েছিল টাওয়ারের কাজে কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস 15/ 4/ 2022 তারিখে সেফটি বেল্ট ছিঁড়ে উঁচু টাওয়ার থেকে মাটিতে পড়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় হাইউল সেখ বয়স 26 নামে এক তরতাজা যুবকের। কর্ণাটক থেকে আজ বাড়িতে মৃতদেহ পৌঁছালে হাজার হাজার এলাকার মানুষজন চোখের জলে নিয়ে একবার দেখার জন্য হাজির হয়েছিলেন তার বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার ইংলিশবাজার থানার নরহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতরিয়া গ্রামে। 15/ 4 /2022 তারিখে মোবাইল মারফত দুর্ঘটনার খবর বাড়িতে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে পরিবারবর্গ আত্মীয়-স্বজন। বাড়িতে রয়েছেন মা-বাবা স্ত্রী এবং একটি তিন বছরের পুত্র সন্তান এবং দুটো বোন। একটি বোন এবারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘনঘন অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে বোন. কারণ দাদা ছিল তার পড়াশোনার পথপ্রদর্শক। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মা বাবা অজ্ঞান. বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না তাদের একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে। মা যে লেখা বিবি বাবা নাজিম উদ্দিন কাঁদছেন অঝোরে এবং বলছেন আমরা হয়তো আর বাঁচবো না কারণ আমার বাঁচার সম্বল ছিল আমার একমাত্র ছেলে। গ্রামের এক বাসিন্দা মহিদুর জানালেন দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রায় পঞ্চাশ এর অধিক তরতাজা যুবক টাওয়ারের কাজে মারা গিয়েছে। যতদিন পর্যন্ত এলাকায় কোন কাজের সন্ধান না হয়েছে বা কাজের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ততদিন হয়তো মৃত্যুর মিছিল আমরা দেখতেই থাকবো। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মেঘুশেখ জানালেন অত্যন্ত গরীব পরিবার তাদের কিছু নেই এ অবস্থায় ওই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছেলে ছিল। একটা শেষ হয়ে গেল।