নাবালিকার আত্মহত্যার খবর পেয়ে প্রতিবেশী যুবকের আত্মহত্যা করাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়
ব্যুরো রিপোর্ট,নদীয়া:নদীয়ায় ১৬ বছরের নাবালিকার আত্ম হত্যার খবর পেয়ে এলাকারি এক যুবক করে বসলেন আত্ম হত্যা।তাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার হাঁসখালির ছোট ব্রিজের কাছে হাসপাতাল পাড়া এলাকায়।
দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গভীর ভাবে গড়ে উঠেছিল বলেই মনে করছেন প্রতিবেশীরা।
আর সেই কারণেই প্রেমিকার আত্মহত্যার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বসলেন প্রেমিক।
মৃত দুজনের নাম মুন্নি দাস(১৬),কার্তিক বিশ্বাস(২৭)।একই পাড়াতে প্রায় কাছাকাছি দুজনের বাড়ি।মুন্নি হাঁসখালি সমবায় হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
যদিও পড়াশোনা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়ে কার্তিক ইদানিং রাজমিস্ত্রি জোগাড়ের কাজ করত।
মঙ্গলবার রাত পৌনে নটা নাগাদ মুন্নি হঠাৎই নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা তাকে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
যদিও মুন্নির আত্মহত্যার মাত্র ১০ মিনিটের মাথাতেই কার্তিক নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বসেন।
তাকেও নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে।সেখানেও কার্তিককে চিকিৎসকরা দেখেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।বুধবার দুজনকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।প্রতিবেশীদের অনেকেরই অনুমান, মুন্নি ও কার্তিক এর মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
একটা সময় কার্তিক মদের নেশা করত। কিন্তু ইদানিং সেই নেশা ছেড়ে দিয়েছিল।
নিজের ভাইয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও কার্তিক সম্ভবত প্রেমের কারণেই বিয়ে করছিল না।হয়তো দুজনের মধ্যে কারও বাড়ির লোকজন সেই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি।আর সেই কারণেই মুন্নি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। মুন্নির আত্মহত্যার খবর পেয়েই প্রেমিক কার্তিকও আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়।যদিও মুন্নির দাদুর রবিন দাস, কার্তিকের বাবা উজ্জ্বল বিশ্বাস কেউই দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তা জানতেন না বলে জানিয়েছেন।সামগ্রিক ঘটনার তদন্তে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।